বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি
সাময়িকী ২০০৭ (১ম ও ২য় খন্ড)
সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সাময়িকী প্রকাশ-আমাদের সমিতির কার্যনির্বাহক কমিটির অন্যতম প্রধান দায়িত্ব (গঠনতন্ত্র, ধারা খ২: উৎস ও লক্ষ্য)। আর সাময়িকী প্রকাশের কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সমিতির কার্যনির্বাহক কমিটি একজন সম্পাদক এবং একটি সম্পাদকীয় পরিষদ নিযুক্ত করবেন- এটাও গঠনতান্ত্রিক নির্দেশ (ধারা চ১১: কার্যনির্বাহক কমিটি ও কর্মকর্তাদের কর্তব্য)। গণতান্ত্রিক বিধি-বিধানের প্রতি বর্তমান কার্যনির্বাহক কমিটির পূর্ণ আস্থার অন্যতম নিদর্শনই হল বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সাময়িকী ২০০৭।
অর্থনীতিবিদদের পেশাগত দায়-দায়িত্ব পালনের সাথে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের স্বচ্ছ সমন্বিত প্রয়াসের প্রতিফলন-এবারের বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সাময়িকী ২০০৭। এবারের মত এত বৃহদায়তান ও বৈচিত্র্যসমৃদ্ধ সাময়িকী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ইতিহাসে বিরল। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রায় ১০০০ পৃষ্ঠিার এবং দুই খন্ডি সাময়িকী প্রকাশিত হলো। গতবারের সাময়িকী ২০০৪-এর তুলনায় এবারের সাময়িকী ২০০৭-এর কিছু ব্যতিক্রম উল্লেখ করা প্রয়োজন। গতবারের সাময়িকীতে মোট প্রবন্ধের সংখ্যা ছিল ৩৭-টি আর এবারে ৫৪টি অর্থাৎ ৪৬% বৃদ্ধি। গতবারের সাময়িকীতে প্রবন্ধ রচয়িতার মোট সংখ্যা ছিল ৪১ জন, এবারে ৬১ জন অর্থাৎ ৪৯% বৃদ্ধি। এবার গতবারের তুলনায় প্রবন্ধের বিষয়ভিত্তিক বৈচিত্র্যও বেশী। যে কারণে সুসংবদ্ধভাবে উপস্থাপনের জন্য প্রবন্ধসমূহকে মোট ৮-টি বৃহৎবর্গে শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে:
(১) রাজনৈতিক-অর্থনীতি, সমাজ সম্প্রদায়
(২) দারিদ্র, দুর্নীতি, সুশাসন
(৩) সামষ্টিক অর্থনীতি, আর্থিকনীতি, মুদ্রানীতি, ব্যাংক, কর
(৪) কৃষি, শিল্প, অবকাঠামো, প্রাকৃতিক সম্পদ
(৫) শিক্ষা ও খাদ্য
(৬) আঞ্চলিক অর্থনীতি, বিশ্বায়ন
(৭) বাজেট
(৮) নাগরিক কমিশন
গতবারের তুলনায় এবারের সাময়িকীতে বেড়েছে প্রবন্ধের সংখ্যা; বেড়েছে প্রবন্ধ রচয়িতার সংখ্যা; বেড়েছে বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় রচিত প্রবন্ধের সংখ্যা; আর অবশ্যই বেড়েছে বিষয়-বৈচিত্র্য। সেই সাথে সমিতির গত তিন বছরের কর্মকান্ডের লিখিত প্রমাণাদি আছে এবারের সাময়িকীতে। যার মধ্যে অন্যতম সমিতি কর্তৃক হঠিত গ্যাস-তেল-কয়লা বিষয়ক নাগরিক কমিশনের রিপোর্ট, অর্থনীতি সমিতি স্বর্ণপদক সম্মাননা প্রাপ্তদের পরিচিতি, সমিতির নিজস্ব ভবন নির্মাণ, সমিতির চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের দু’বছরের কার্যক্রম খতিয়ান, বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলন ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং সমিতি আয়োজিত অধ্যাপক আনিসুর রহমান রবীন্দ্র সন্ধ্যা। আর এবারই প্রথম সংযোজিত হলো বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২০০৪-২০০৭ কর্যক্রমের নির্বাচিত ফটো এলবাম।
এ দেশের মানুসের মুক্তি ও স্বাধীনতা-মধ্যস্থতাকারী মানব উন্নয়ন দর্শনে বিশ্বাসী এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ অর্থনীতিবিদদের সমিতি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বর্তমান নির্বাচিত কার্যনির্বাহক কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গত তিন বছরে এ দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বয়নে আমাদের সীমিত সাধ্যের আংশিক এবং স্বচ্ছ বহিঃপ্রকাশই বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সাময়িকী ২০০৭। আয়তন বাড়লে ভু-ক্রটি বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। পাঠকরা আশা করি মার্জনা করবেন এবং ভবিষ্যতে আরো উন্নত সাময়িকী প্রকাশে সুপরামর্শ দেবেন।
প্রুফ দেখাসহ অন্যান্য জটিল ও যন্ত্রণাদায়ক কাজে সহায়তার জন্য অনেকের কাছে ঋণ স্বীকার করছি, যাদের মধ্যে অন্যতম আবদুল্লাহ আল মামুন, সেলিম রেজা এবং মোজাম্মেল হক। সেই সাথে আরো যাদের প্রতি ঋণ স্বীকার না করলেই নয় তারা হলেন, আগামী প্রেসের মুদ্রণ কর্মী এবং স্বত্ত্বাধিকারী শাহীন আহাম্মদ; প্রচ্ছদ ডিজাইনার সৈয়দ এসরারুল হক এবং প্রচ্ছদ ছবি অংকনে ক্ষুদে শিল্পী অবন্তি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
অধ্যাপক আবুল বারকাত
সম্পাদক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সাময়িকী ২০০৭
এবং
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি